,

সদর হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স চালকদের রামরাজত্ব :: রেহাই পাচ্ছে না লাশবাহী গাড়িও

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স চালকরা নৈরাজ্য যেনো থামছেই না। সংবাদ প্রকাশের পর তারা যেনো আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের হাত থেকে এখন লাশবাহী গাড়িও রেহাই পাচ্ছে না। তাদের কথিত অবরোধ নিয়ে সচেতন মহলে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, কাদের বিরুদ্ধে তারা অবরোধ করছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাকি হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে। একদিকে অবৈধভাবে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলে রোগী নিয়ে টানাটানি করা, সরকারি রেটের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিলেট-ঢাকায় রোগী নিয়ে যাওয়া, রোগীর স্বজনদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। আরেকদিকে কথা নেই বার্তা নেই হুট করে অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছে।
হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, অবরোধ করলে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদ করার কথা, কিন্তু তারা তা না করে কোনো গুরুতর রোগীকে জরুরি মুহুর্তে সিলেট কিংবা ঢাকা অন্য গাড়ি দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তারা বাধা দিচ্ছে। শুধু গুরুতর রোগীই নয়, লাশবাহী গাড়িও আটকে দিচ্ছে। এটা কেমন অবরোধ? তবে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলেও তারা বরাবরই তা অস্বীকার করেন। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
গত শুক্রবার চুনারুঘাট উপজেলার বড়জুষ গ্রামের মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তি বিষপানে মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে অন্য গাড়িতে করে লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকরা বাধা দেন। এক পর্যায়ে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে লাশটিতে পঁচন ধরে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে লাশবাহী গাড়িটি ছাড়া হয়। গতকাল শনিবারও এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার জানান, হাসপাতালে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষেধ। এটা আমার একা সিদ্ধান্ত নয়, কমিটির সিদ্ধান্ত। কোনো অবস্থাতেই হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে না। এ ছাড়া যদি চালকরা লাশবাহী গাড়ি বা রোগীবহনকারী গাড়ি আটক করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর